৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, সন্ধ্যা ৭:৫৫

ষ্টেশন নয় যেন ময়লার ভাগাড়

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রেলপথের দু’পাশ দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে রেলের সম্পত্তি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে দোকানপাট। আবার অনেকে দোকান-ঘর তুলে ব্যবসা করছেন। এছাড়া যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নষ্ট হচ্ছে স্টেশনের পরিবেশ।

নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র ১নং রেলওয়ে স্টেশনের পরিবেশ দেখে মনে হয়, এটি যেন ময়লা আবর্জনা রাখার স্থান! ময়লা স্তুপ করে রাখায় স্টেশনটির পাশের জায়গা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিত্তবানরা স্টেশনের জায়গা দখল করে দোকানপাট-ঘরবাড়ি গড়ে তুলেছেন। আবার অনেকে সরাসরি না গিয়ে অন্যের মাধ্যমে দখল করছে সরকারি সম্পত্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, দখল-দূষণ ছাড়াও নানা সঙ্কটে ধুঁকছে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রেলপথ। এ রেলপথের স্টেশনগুলো এক সময় যাত্রীর উপস্থিতিতে থাকতো সরগরম। কিন্তু করোনার কারণে এ রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় নগরবাসীর দুর্ভোগের অন্ত নেই।

অপরদিকে রেলপথ উন্নয়ন করার কাজ শুরু হলেও করোনা মহামারীর কারণে তা এখন বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া যাত্রীসেবার মানও বাড়েনি। স্টেশনে পর্যাপ্ত বসার স্থান নেই, নেই পাবলিক টয়লেট। এছাড়া ট্রেনে হকার, হিজড়া ও ভিক্ষুকের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ থাকে যাত্রীরা। তারা অনেকবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি।

১নং রেল গেইট এলাকার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের আশপাশ দিন দিন দখল হচ্ছে। এক সময় মানুষ এ রুটে বেশি চলাচল করতো। করোনার কারণে এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ। তাই দখলবাজদের রেলের জায়গা দখল করতে সুবিধা হচ্ছে। সরকারের কাছে রেলের সম্পত্তি উদ্ধার এবং শীঘ্রই এ রেলপথে পুনরায় চালু করার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার গোলাম মোস্তফা বলেন, করোনার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ। তাই হয়তো মার্কেটের দোকানদাররা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে ময়লা ফেলা হয়েছে। আমি শীঘ্রই আমাদের লোকবল দিয়ে এ ময়লা পরিস্কারের ব্যবস্থা নিবো।

দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বারবার উচ্ছেদ করি, তারা বারবার বসে। তবে ডাবল রেললাইনের কাজ চলছে, তা হলে আর কেউ বসতে পারবে না।
২নং রেল গেইট থেকে ১নং রেল গেইট পর্যন্ত দখলদারদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান ছিলো, যা ২নং রেল গেইট পর্যন্ত আসার পরে করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে বন্ধ আছে। করোনা পরিস্থিতি গেলে এ স্থানে পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান করা হবে এবং এখানে বেশ কিছু জায়গা একোয়ার করা হবে।
কবে নাগাদ এ রুটের ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ঈদের আগে এ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে না। তাছাড়া ঈদের পরেও কবে নাগাদ চলাচল শুরু হবে তা নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.